জীবনের ঝুঁকি নিয়েই ক্লাস করছে কান্দিরপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা

কচুয়া প্রতিবেদক॥

১৯৮৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় কচুয়া উপজেলার ৫নং পশ্চিম সহদেবপুর ইউনিয়নের কান্দিরপাড় গ্রামের ১২৪নং কান্দিরপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টিতে ৪জন শিক্ষক এবং ১শত১৫ শিক্ষার্থী রয়েছে।

সরজমিনে দেখা যায় , স্কুলের সামনের সিড়ি গুলোতে ফাটল দেখা দিয়েছে। বিদ্যালয়ের একমাত্র চলাচলের পথের কিছু অংশ ভেঙ্গে পড়ায় সড়কটি সরু হয়ে পরে। শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন এই সরু পথ দিয়েই বিদ্যালয়ে যাতায়াত করছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়েই ক্লাস করতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের।

বিদ্যালয়ের সাথে বোয়ালজুড়ি খাল দিয়ে প্রতিনিয়ত হাজীগঞ্জ, মতলব, দাউদকান্দি ও কচুয়া উপজেলার বিভিন্ন ইঞ্জিনচালিত নৌযান চলাচল করে। ফলে পানির ঢেউ এসে বিদ্যালয়ের সীমানায় প্রভাবিত হয়। প্রতিবছর বর্ষার পানি ও নৌযান চলাচলের কারণে বিদ্যালয়ের খালের অংশে কোন প্রকার গাইডওয়াল না থাকায় পানির স্রােতের সাথে ভবনের নিচের মাটিগুলো ধীরে ধীরে সরে যাচ্ছে। ফলে যে কোন মুহুর্তে ভবনটি খালে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী।

স্থানীয় এলাকাবাসী আঃ রহিম, আঃ মমিন, বাদশা, জামাল হোসেন, রহিমা খাতুন ও শেফালী বেগম জানান, বিদ্যালয়টির পাশে বোয়ালজুড়ি খাল ও এই খালের গভীরতাও অনেক বেশি। কিন্তু বিদ্যালয়ের ভবনটি রক্ষায় নেই কোন গাইডওয়াল। খাল থেকে বিদ্যালয় ভবনটি রক্ষা করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এলাকাবাসী।

এদিকে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. কবির আহমেদ বলেন, বর্ষা মৌসুমে এই খাল দিয়ে খড়স্রােত প্রবাহিত হওয়ার কারণে খাল পাড়ের মাটি সরে যাওয়ায় বিদ্যালয়টি ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। অচিরেই কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে যেকোন সময় খালে ধ্বসে পড়তে পারে বিদ্যালয়টি। এই ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার এ এইচ এম শাহরিয়ার রসুল বলেন, বিদ্যালয়েরপাশে বোয়ালজুড়ি খাল দিয়ে বিভিন্ন নৌযান চলাচল করে। এসএমসি ও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় বরাদ্দ দেয়ার জন্য প্রধান শিক্ষককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বিদ্যালয়টি সরেজমিনে পরিদর্শন করে উপজেলা শিক্ষা কমিটি ও প্রশাসনের সাথে আলোচনা করে ধ্বসে পড়া রোধের জন্য আর্থিক বরাদ্দ দেয়া হবে।

Loading

শেয়ার করুন: