পূবালী চলবে নারায়ণগঞ্জ পথে

মেঘনাবার্তা ডেস্ক:

স্বাধীনতার ৪৮ বছরেও নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের লঞ্চ টার্মিনালে দেয়া হয়নি নতুন ও আধুনিক সুবিধা সম্বলিত লঞ্চ। লঞ্চ মালিক সমিতির কাছে দীর্ঘদিন ধরেই জিম্মি ছিল নদী পথের যাত্রীরা। মালিক সমিতির নেতাদের সিন্ডিকেটের কারণেই অত্যন্ত পুরাতন, জরাজীর্ণ ও ছোট আকারের লঞ্চগুলো দিয়েই প্রতিদিন উত্তাল মেঘনা পাড়ি দিতে হচ্ছে যাত্রীদের। নতুন লঞ্চটি চলাচলে প্রতিবন্ধকতারও সৃষ্টি করতে চেয়েছিল মালিক সমিতি।

অবশেষে বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দর কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে নারায়ণগঞ্জ-চাঁদপুর রুটে দ্বিগুনের বেশি যাত্রী ধারণক্ষমতা সম্পন্ন এমভি পূবালী-৪ নামের নতুন একটি লঞ্চ এ রুটে চলাচল করতে যাচ্ছে। দীর্ঘদিন পর নারায়ণগঞ্জ-চাঁদপুর রুটে নতুন একটি লঞ্চ সাভিস চালু করা হলো।

৯ আগস্ট শুক্রবার বিকেল ৩টায় লঞ্চটির চলাচল উপলক্ষে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের মাধ্যমে নতুন লঞ্চটি চালু করা হয়।

মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরের যুগ্ম পরিচালক শেখ মাসুদ কামাল, উপ-পরিচালক মো. শহীদুল্লাহ, সহকারী পরিচালক এহতেশামুল পারভেজ, বিআইডব্লিউটিএ’র সিবিএ নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন, এমভি পূবালী-৪ নামের নতুন লঞ্চটির মালিক আলাউদ্দিন প্রমুখ।

নৌযানটি ডিপার্টমেন্ট অব শিপিং থেকে প্রাপ্ত সার্ভে সনদ থেকে জানা গেছে, লঞ্চট দিনের বেলায় ৩৪০ জন ও রাতের বেলায় ২৩০ জন যাত্রী পরিবহন করতে পারবে। এতে ৬১টি লাইফ বয়া, ১১টি ফায়ার বাকেট, ৫টি অগ্নি নির্বাপন যন্ত্রসহ বিভিন্ন অগ্নি নির্বাপক ও জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জাম রয়েছে। এছাড়া ২ জন ৩য় শ্রেণির ইনল্যান্ড মাস্টার ও ২ জন ৩য় শ্রেণির ইনল্যান্ড ড্রাইভার রয়েছে। অথচ নারায়ণগঞ্জ-চাঁদপুর রুটে বর্তমানে যে ১৫টি লঞ্চ চলাচল করে থাকে সেগুলো সর্বোচ্চ ২৩৯ জন ও সর্বনিম্ন ১৪০ জন যাত্রী পরিবহন করতে পারবে।

বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের ট্রাফিক বিভাগের সহকারী পরিচালক বাবু লাল বৈদ্য জানান, নারায়ণগঞ্জ থেকে চাঁদপুর রুটে এমভি পূবালী-৪ (এম-৬০৭৮) নামের একটি নতুন লঞ্চ চলাচলের জন্য রুট পারমিটের অনুমতি প্রদান করা হয়েছে। এ রুট পারমিট অনুযায়ী নতুন লঞ্চটি প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টায় নারায়ণগঞ্জ থেকে চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে ও সকাল ৬টায় চাঁদপুর থেকে নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসবে।

উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জ-চাঁদপুর রুটে নতুন লঞ্চ চলাচলে বাধা দেয়ার অভিযোগ উঠেছিল লঞ্চ মালিক সমিতির বিরুদ্ধে। ৬ আগষ্ট থেকে লঞ্চটি চলাচলের অনুমতি পেলেও মালিক সমিতির বাধার কারণে অদ্যাবধি লঞ্চটি চলাচল করতে পারেনি।

নতুন লঞ্চটির মালিককে হুমকি ধামকি ছাড়াও লঞ্চ ধর্মঘটেরও হুশিয়ারি দিয়েছে মালিক সমিতির নেতারা। যদিও হুমকির অভিযোগ অস্বীকার করেন নারায়ণগঞ্জ লঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি বদিউজ্জামান বাদল। পরে বিআইডব্লিউটিএ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হস্তক্ষেপে লঞ্চটি চলাচল শুরু হয়।

Loading

শেয়ার করুন: