প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে মূল হাতিয়ার জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ : প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চাঁদপুর জেলায় বাস্তবায়নাধীন উন্নয়ন প্রকল্প সম্পর্কিত আলোচনা সভা ৬অক্টোবর রোববার সকাল ১০টায় চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় বিভিন্ন বিভাগের প্রধানদের সাথে উন্নয়ন বিষয়ে আলোচনা করেন।

চাঁদপুর জেলা প্রশাসক মোঃ মাজেদুর রহমান খানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মো: খলিলুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চেষ্টা করছেন আমাদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে। মানুষকে একটু স্বস্তি দিতে। মানুষ যাতে একটু নিরাপদে সুন্দরভাবে বাঁচতে পারে, সেজন্য সরকার অনেকভাবে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এ জন্য আমাদের যার যার অবস্থান থেকে সরকারকে সহযোগীতা করতে হবে। সরকারের উন্নয়নের সকল কিছুই দৃশ্যমান করতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে মূল হাতিয়ার জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ। যেখানে অনিয়ম ও দুনীতি রয়েছে সেখানকার তথ্য দিয়ে সরকারকে সহযোগীতা করতে হবে। দেশে আর যেন কোন জিকে শামীম সৃষ্টি হতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রেখেই সরকার দেশ পরিচালনা করছে। সরকার দুনীতির বিরুদ্ধে কঠোর। আমাদের দেশের অর্থনীতিক অবস্থার দিন দিন পরিবর্তন হচ্ছে। সরকারের উন্নয়নের কর্মকান্ডগুলো সর্বস্তরের মানুষের কাছে তুলে ধরতে হবে।

তিনি আরো বলেন, দেশের মানুষের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, চিকিৎসাসহ সকর সেবা সঠিক ভাবে নিশ্চিত হয়, সে লক্ষ্যেই সরকার কাজ করছে। কৃষির উন্নয়নের জন্য সরকার ব্যাপক পদক্ষেপ গ্রহন করেছে।

মহাপরিচালক বলেন, হাইওয়ে সড়কের পাশের দোকানগুলো উচ্ছেদ করতে হবে। চলতি বছর ডিসেম্বরের মধ্যে তা বাস্তবায়ন করতে হবে। উচ্ছেদের সময় কোন প্রকার বাঁধা আসলে সাথে সাথে প্রশাসনের সহযোগীতা নিতে হবে। নিরাপদ সড়কের জন্য হাইওয়ের সকল স্পীড ব্রেকারগুলো ভেঙ্গে ফেলতে হবে। সড়কের পাশে গাছ লাগাতে হবে। মহাসড়কগুলোতে ভারী যানবাহনের লোড কমাতে হবে। গ্রামীণ ফিডার রোডগুলোর দিকে একটু বেশি নজর দিতে হবে। কোন মতে যাতে গ্রামীণ রাস্তাগুলোতে ৫ টনি যানবাহন চলাচল করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এ সব বিষয়গুলো সম্পূর্ন নিষিদ্ধ করতে হবে। সরকারি টাকা খরচ করে দেশের গ্রামীণ ফিডার রোডগুলো করা হচ্ছে, সেদিকে সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারীগণ একটু বেশি খেয়াল রাখতে হবে। সড়কের পাশের অবৈধ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করতে হবে। দেশে সঠিক ভাবে আইন প্রতিষ্ঠা করতে হলে সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীগণ বেশি সচেতন হতে হবে।

খলিলুর রহমান বলেন, প্রশাসনিক সেক্টরে জনবল সংকট থাকলে তাও সরকারকে লিখিত ভাবে জানাতে হবে। জনবলের সংকটের কোটাগুলো পূরনের জন্য সরকারের দৃষ্টি আনতে হবে। একটা ছেলে কিংবা মেয়ের সরকারি চাকরি হওয়া মানে, একটি পরিবারের ভাগ্য পরিবর্তন হওয়া। তাই কোন বিষয়ে খামখেয়ালী করা যাবে না। দেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, প্রতি ইউনিয়নে নার্চারী গড়ে তুলতে হবে। প্রয়োজনে উদ্যোক্তাদের ব্যাংক ঋন ব্যবস্থা করে দেয়া হবে। দেশ থেকে ভিক্ষাবৃত্তি দূর করতে হবে। সরকার মহতি উদ্যোগ নিয়ে দেশ পরিচালনা করছে। এ জন্য আমরা যারা দায়িত্বশীল পদে রয়েছি, তাদের সচেতন হওয়ার বিকল্প নেই। প্রাথমিক বিদ্যালযের শিক্ষাকে গুরুত্ব দিতে হবে। আমি জিপিএ-৫ চাই না, আমি চাই সকলে পাশ করুক। কারণ প্রাথমিক খাতে সরকার অনেক টাকা ব্যায় করেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ জামাল হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এস এম জাকারিয়া, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রট মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রট অলিদুজ্জামান চাঁদপুর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-২ জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ আবু তাহের, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবার্হী প্রকৌশলী মোঃ আবু রায়হান, জেলা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপপচিালক ডাঃ মোঃ ইলিয়াছ, সড়ক ও জনপথ বিভাগের নিবার্হী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম, জেলা পরিষদের সচিব মিজানুর রহমান, মৎস্য গষেণা ইন্সটিটিউটের ড. আনিছুর রহমান, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুল বাকী, জনস্বাস্থ্যের নিবার্হী প্রকৌশলী মাহমুদ কবির চৌধুরী, এলজিইডির নিবার্হী প্রকৌশলী শাহাদাত হোসেন, জেলা শিক্ষা অফিসার শফি উদ্দিন, জেলা সমাজসেবা অফিসার রজত শুভ্র সরকার, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ সাহাব উদ্দিন, প্রশাসনের প্রতিটি বিভাগের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোঃ খলিলুর রহমান চাঁদপুরের বিভাগীয় প্রধানদের সচিত্র উন্নয়ন উপস্থাপনায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।

Loading

শেয়ার করুন: