ফরিদগঞ্জে নোয়াপাড়ায় ১ কি.মি. রাস্তার জন্যে……….

আবদুল কাদির ॥

ফরিদগঞ্জ উপজেলার পাইকপাড়া উত্তর ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী নোয়াপাড়া দাখিল মাদ্রাসা হতে সাইসাঙ্গা পর্যন্ত ১ কি.মি. সড়কের জন্য দূর্ভোগ ৫ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের।

সরেজমিনে জানাযায়, নোয়াপাড়া দাখিল মাদ্রাসা হতে সাইসাঙ্গা পর্যন্ত ১ কি.মি. সড়কে বড় বড় গর্ত এবং খানা খন্দে পরিণত হয়েছে।পুকুর পাড়ের মাটি ধসে পড়ে যাতায়াতের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। এ সড়কটি দিয়ে যাতায়াত করে নোয়াপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় ও নোয়াপাড়া দাখিল মাদ্রাসার শত শত শিক্ষার্থীরা। এই রাস্তায় প্রতিদিন চলাচল করছে নোয়াপাড়া, সাইসাঙ্গা, আষ্টা, সুবিদপুর ও ষোলদানা গ্রামের কয়েক সহস্রাধিক জন সাধারণ। শতবর্ষী আব্দুল খালেক জানান, এই সড়কটি আমরা নিজ হাতে মাটি কেটে নির্মাণ করেছি। আজও পর্যন্ত সড়কটি ঐ অবস্থায়ই রয়েছে। এই সড়কটিতে কোন উন্নয়ন কর্মকান্ড হয়নি। এবং এই রাস্তায় চেয়ারম্যান, মেম্বাররা এসে নানান প্রতিশ্রুতি দিয়ে চলে যায়।

স্থানীয় বাসিন্দা শাহ আলম, রফিকুল ইসলাম, মিজানুর রহমান বলেন, কিছুদিন আগে উপজেলা পরিষদ থেকে ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম উন্নয়নের জন্য নগদ অর্থ বরাদ্দ দিলেও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান তার বাড়ির সামনে এবং আশে পাশে উন্নয়ন করেছে। নির্বাচন ছাড়া আর কেউ আসেনা। নোয়াপাড়া দাখিল মাদ্রাসায় গত বৎসরের বাৎসরিক মাহফিলে উপজেলার প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা কয়েক সহ¯্রাধিক মানুষের সম্মুখে সড়কটি নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে যান। এক বছর পেরিয়ে গেলেও এলাকার মানুষকে দেওয়া সেই প্রতিশ্রুতি রাখেন নি, অথচ উপজেলায় কোটি কোটি টাকার রাস্তা ঘাত করা হয়েছে। এ যেন বি মাতা সূলভ আচরন আমাদের সাথে।

এ বিষয়ে ইউপি সদস্য খলিলুর রহমান মোবাইল ফোনে জানান, ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে বহুবার বলেও এই রাস্তাতেউন্নয়নের কোন বরাদ্ধ পাওয়া যায়নি।

ইউপি চেয়ারম্যান আলী আক্কাছ ভূইয়া বলেন,সাবেক এমপি শামছুল হক ভূইয়া থাকলে আমি সড়কটি নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করতে পারতাম।বর্তমান এমপির সময়ে কোন বরাদ্দ আমি পাচ্ছিনা।
তবে স্থানীয়দের দাবী আমরা রেশা রেশি বুঝি না। আমার চাই সড়কটি যেন যাতায়াতের উপযোগী হয়।

Loading

শেয়ার করুন: