বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা কখনো শ্রীলঙ্কা হবে না : সুজিত রায় নন্দী

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥

১৭ মে ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে দুঃস্থ নারীদের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ এবং প্রধানমন্ত্রীর ত্রান তহবিল থেকে গরীব, অসহায়দের মাঝে চেক বিতরণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।

অনুষ্ঠানে অসহায়র ৪০ নারীকে ৪৪টি সেলাই মেশিন ও ১৪ জন অসহায় গরীবের মাঝে ৫০ হাজার টাকা করে সর্বমোট ৭ লাখ টাকা চেক হস্তান্তর করা হয়।

মঙ্গলবার (৩১ মে) বিকাল সাড়ে ৪টায় চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক এবং ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির সদস্য সচিব সুজিত রায় নন্দী।

তিনি বলেন, ইতিপূর্বে আমরা অনেক প্রোগ্রাম করেছি। দুস্থ নারীদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে এ ধরণের অনুষ্ঠান আগেও করেছি। তারই ধারাবাহিকতার আজকে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী এদিনে এদেশে এসেছেন বিধায়েদেশের জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার বাতিঘর জ্বরে উঠেছিলো। জননেত্রী দেশে ফিরে এসেছিলেন বিেল নতুন প্রজন্ম বাংলা আসল ইতিহাস জানতে টেরেছে। তিনি সততার প্রতিক, তিনি মানবতার মা। বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। জননেত্রী সুদৃঢ় নেতৃত্বে করোনাকালীন সময়ে করোনাভাইরাস সহনশীলভাবে মোকাবিলা করতে পেরেছেন। অনেকেই স্বপ্ন দেখেন এদেশ নাকি শ্রীলঙ্কা হয়ে যাবে। এটা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা এটি কখনো শ্রীলঙ্কা হবে না। আওয়ামী কচুপাতার পানি নয়। আওয়ামী লীগ নদীর স্রোতের মত আপন গতিতে চলে।

তিনি আরো বলেন, ত্যাগের মূল্যায়ন করতে হবে। ত্যাগী নেতাদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। আওয়ামী লীগ এক ও অভিন্ন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা এগিয়ে যাবো।অসহায়দের পাশে দাঁড়ানো আওয়ামী লীগের ঐতিহ্য। শেখ হাসিনার পক্ষেই সম্ভব অসহায়দের পাশে দাঁড়ানো। যিনি অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারেন তিনি হলেন শেখ হাসিনা। জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্যে আমাদের কাজ করে যেতে হবে। নেতা একজনই, তিনি হচ্ছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব নাছির উদ্দিন আহমেদ বলেন, ৭৫ এ বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। বিদেশে অবস্থান করার কারণে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ও তাঁর বোন শেখ রেহানাকে আল্লাহপাক বাঁচিয়ে রেখেছিলেন। আজকের এই দিনে তিনি স্বদেশে পা রাখেন। ৭৫ এ জঘন্যতম দিনটতে মূল পরিকল্পনাকারী ছিলো জিয়াউর রহমান। জিয়াউর রহমানের দলই বিএনপি। জিয়াউর রহমান শতশত মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেছিলেন। পরবর্তীতে তারই অংশদীররা এদেশ হত্যা,ঘুম, স্বাধীনতা বিরোধী অপকর্মে লিপ্ত হয়েছেন। যদি পুনরায় আবার এদেশে অরাজকতা সৃষ্টি করতে চায় তাহলে কঠোর জবাব দেয়া হবে। তারা চায় এদেশের উন্নয়নকে ধূলিসাৎ করে দিতে।

তিনি বলেন,বর্তমানে যখন দেশ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের শিখরে পৌঁছে যাচ্ছে।তখন তাতের গাঁ জ্বালাপোড়া লেগে যায়। তারা এদেশের উন্নয়ন দেখতে চায় না। কিন্তু সমস্ত বাঁধা অতিক্রম করে বঙ্গবন্ধু স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলবো। বর্তমানে অনেক ষড়যন্ত্র চলছে, তা আমাদের সবাইকে মিলে প্রতিহত করতে হবে৷

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল বলেন, ব্যক্তিগত স্লোগানের কারণে আমাদের দল ক্ষতিগ্রস্ত। ব্যক্তির নয় বঙ্গবন্ধু ও নেত্রীর স্লোগান হবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বাস্তবায়ন করতেই আমরা এসেছি।

তিনি বলেন, আবারো রক্তের হলি খেলবেন না। রক্তের ভয় আমাদেরকে দেখাবেন না। রাজনীতি করবেন রাজনীতির মত করে। আমরা ঐক্যবদ্ধ।জননেত্রী শেখ হাসিনা কাকে নমিনেশন দিবেন তিনি জানেন, আমার নির্দেশনা পালন করবো। আপনার বিবেক হবে জননেত্রীর শেখ হাসিনার নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা। বঙ্গবন্ধু অসহায়দের জন্যে কাজ করেছেন, তাঁরই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসহায়দের জন্যে কাজ করে যাচ্ছেন।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রান ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির সমন্বয়ক আখলাকুর রহমান মাইনুর সঞ্চালনায় সম্মানিত আলোচকবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর জেলা পরিষদের প্রশাসক আলহাজ্ব ওচমান গনি পাটওয়ারী, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলির সদস্য অ্যাড.কাজি হাবিবুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হানিফ পাটওয়ারী

Loading

শেয়ার করুন: