বিয়ের সাত মাস পর গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চাঁদপুরে আত্মহত্যার প্রবণতা দিন দিন বেড়েই চলছে। অধিকাংশ আত্নহত্যা গুলো তরুন তরুণীদের প্রেম,পরকীয়া প্রেম বা প্রেমের ব্যর্থতার কারণে আত্মহত্যার এ প্রবণতা আশংকাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এদিকে আবারো চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার রুপসা গ্রামে ৭ মাস পূর্বে প্রেম করে বিয়ে করার পর অবশেষে গৃহবধূ মিম আক্তারের রহস্যজনক ১১ মার্চ মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার ২৫০শয্যা চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে দ্বিতীয় তলায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় গৃহবধুর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর খবর জানতে পেরে তার স্বামী মোরশেদ ও তার বন্ধু তড়িঘড়ি করে অ্যাম্বুলেন্সে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে লাশটি নেওয়ার সময় স্থানীয় এ্যাম্বুলেন্স চালকরা বাধা দিলে বাক-বিতণ্ডা সৃষ্টি হয়। অবশেষে অ্যাম্বুলেন্স থেকে লাশটি নামিয়ে জরুরী বিভাগে এনে ইসিজি করার পর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হয় ডাক্তার। নিহত মিম আক্তার ফরিদগঞ্জ রূপসার বাসিন্দা আলমগীর হোসেনের মেয়ে।

গৃহবধূ মৃত্যুর খবর শুনে তার মা লাকি বেগম ও তার বোন কান্নায় ভেঙে পড়ে। সাত মাস পূর্বে রামগঞ্জ কাঞ্চনপুরের মোস্তফা মিয়ার ছেলে মোরশেদের সাথে প্রেম করে মিমা আক্তারের বিয়ে হয়। শ্বশুরবাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে আসলে স্বামীর সাথে অভিমান করে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। গুরুতর মুহূর্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ফরিদগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থা অবনতি দেখে তাকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে আনা হয়।

হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা রেফার করা হলেও নেওয়ার পূর্বে এ হাসপাতালে তাঁর গৃহবধূর মৃত্যু হয়।

হাসপাতালে ডাক্তার সাগর জানান,বিষপান করে গুরুতর অসুস্থ হয়ে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে ঢাকা রেফার করা হলেও তারা গরিমশি করতে থাকে। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। অতিরিক্ত দিষপানের কারণে তার মৃত্যু হয়।

গৃহবধূর স্বামী মোর্শেদ জানান, প্রেম করে বিয়ে করার পর শ্বশুরবাড়িতে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। তবে কি কারনে বিষ খেয়েছে তা জানা যায়নি।

Loading

শেয়ার করুন: