ব্যবসায়ীদের চোর পুলিশ খেলা বন্ধ করতে ফরিদগঞ্জে প্রশাসনের পাল্টা কৌশল

চলমান লকডাউনের স্বাস্থবিধি না মানায় এবং নিষেধাজ্ঞা স্বত্ত্বেও দোকান খোলা নিয়ে এক শ্রেণির ব্যবসায়ী চোর পুলিশ খেলা শুরু করেছে। ফরিদগঞ্জ উপজেলা সদরসহ প্রতিটি বাজারে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এর নেতৃত্বে পুলিশ বা সেনাবাহিনী লকডাউন পরিস্থিতি বজায় রাখতে ও জনগণকে সচেতন করতে মাঠে নামলে বাজারের একটি অংশ থেকে অভিযান শুরু হলে সাটারের ক্র্যাক ডাউন শুরু হয়। শুধু সার্টার নামানোর প্রতিযোগিতা শুরু করে ব্যবসায়ীরা। এভাবে ব্যবসায়ীরা লকডাউন চলাকালে নিজেদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। অন্যদিকে সচেতন ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখলেও চোরপুলিশ খেলা ব্যবাসায়ীদের কারণে তারা ক্ষুব্ধ হয় এবং প্রশাসনকে কঠোর হওয়ার অনুরোধ জানায়।

বিষয়টি নজরে আসার পর ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শহিদ হোসেন ব্যবসায়ীদের কুট কৌশলের বিপরীতে পাল্টা কৌশল নেন। তিনি ফরিদগঞ্জ উপজেলা সদর বাজারে থানা পুলিশের সদস্যদের সিভিল ড্রেসে পর্যবেক্ষণে পাঠান। বিষয়টি শেয়ার করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিউলী হরির সাথে। পরবর্তীতে ইউএনও শিউলী হরির নেতৃত্বে ও অফিসার ইনচার্জ মোঃ শহিদ হোসেনের উপস্থিতিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত এসব দোকানদারকে চিহ্নিত করেন।

পরে তাদেরকে কেন সরকার লকডাউন দিতে বাধ্য হয়েছে। একই সাথে করোনা সংক্রমণ রোধে ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা প্রয়োজন এই বিষয়ে ইউএনও শিউলী হরি ও অফিসার ইনচার্জ মো: শহিদ হোসেন প্রতিটি ব্যবসায়ীকে বোঝান । বিস্তারিত ব্যখা দিয়ে তারা বলেন, ফরিদগঞ্জ পৌর এলাকাসহ প্রতিটি এলাকায় করোনা সংক্রমণ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এর থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার উপায় লকডাউন সফল করতে আপনাদের সহযোগিতা । কারণ আমরা জানি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার কারণে আপনারা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছেন। কিন্তু অবশ্যই তার মৃত্যুর চেয়ে বেশি নয়। যেভাবে মানুষ অসুস্থ হচ্ছে ও মারা যাচ্ছে। তাতে আমরা কেউই নিরাপদ নই। তাই সকলের স্বার্থে জনসমাগম ঠেকাতে লকডাউন বাস্তবায়ন করতে হবে।

পরে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে দোকান খোলা রাখার অপরাধে দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ২৬৯ ধারায় দোকান খোলা রাখা ব্যবসায়ীদের জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

Loading

শেয়ার করুন: