ভুট্টো হত্যা মামলার প্রধান আসামী সোহাগের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী

চাঁদপুর: চাঁদপুর সদর উপজেলার শাহমাহমুদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও ব্যবসায়ী আজিজুর রহমান ভুট্টো হত্যা মামলার প্রধান আসামী হামিদুর রহমান ওরফে সোহাগ আদালতে (১৬৪) স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন।

বৃৃহস্পতিবার (৪ জুন) দুপুরে চাঁদপুর সিনিয়র জুডিসিয়্যাল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. কামাল হোসেনের কাছে হামিদুর রহমান সোহাগ ভুট্রো হত্যার কথা স্বীকার করেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, সকালে আসামীকে নিয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকতা চাঁদপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাশেদ আসামীকে আদালতে নিয়ে আসেন। আসামীকে আদালতে নিয়ে আসার সময় দেখা গেছে আসামী স্বাভাবিকভাবেই আদালতে আসেন। আদালতে এসে কিছুক্ষন থাকার পরই সে স্বীকারোক্তিমূলক জবান দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

এর আগে এই মামলার তদন্তকারী কর্মকতা এস আই রাশেদুজ্জামান বুধবার একই আদালতে আসামী সোহাগকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০দিনের রিমান্ড চেয়েছিলেন। পরবর্তীতে আদালত বাদীর আইনজীবীদের উপস্থিতিতে মামলার ১নং আসামীর ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন।

এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে চাঁদপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইকবাল বিন বাশার এই মামলার তদন্তকারী কর্মকতা চাঁদপুর মডেল থানার এসআই রাশেদুজ্জামানকে ফোনে ডেকে এনে আসামীকে শহরের চেয়ারম্যানঘাট এলাকায় তুলে দিয়েছেন বলে তিনি জানিয়েছিলেন। এদিকে এই মামলায় এজহার নামীয় আসামীদের মধ্যে মো. মুনসুর খান মোস্তফা খান কালু ও মো. সুমন খানকে গত ২০ মে ভোরে চাঁদপুর মডেল থানা ও গোয়েন্দা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে। পরে তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। মামলা নং-১৬/২০ এবং ভার্চুয়াল মামলা নং-২৬৮/২০। এরপর মঙ্গলবার (২ জুন) তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তদন্তকারী কর্মকর্তা ৭ দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

জানাগেছে, গত ১৮ মে দিনগত রাতে কুমারডুগি নিজ বাড়ীতে যাওয়ার পথে আজিজুর রহমান ভুট্টোকে পথিমধ্যে দূর্বৃত্তরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে তার মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় পরদিন ১৯ মে ভুট্টোর স্ত্রী চাঁদপুর মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে।

আদালতে বাদী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট সেলিম আকবর ও অ্যাডভোকেট ইয়াছিন আরাফাত ইকরাম। আসামী পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডঃ ইকবাল বিন বাশার।

Loading

শেয়ার করুন: