মতলব উত্তরে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপ মুখোমুখি

মতলব উত্তর ব্যুরো:

মতলব উত্তরে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপে একই দিনে ছেংগারচর বাজারে মিছিল সমাবেশ আহ্বান করে । ১ মার্চ মঙ্গলবার সকাল থেকে চাঁদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ্ব এ্যাড. নূরুল আমিন রুহুল এমপির সর্মথকরা মিছিল করেন।

অপরদিকে বিকেল ৩টায় সময় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রমের সর্মথকরাও পৃথক দুটি মিছিল বের করে। একটি মিছিল পৌরসভার ঠাকুরচর,আদুরভিটি, পালালোকদি গ্রামের সর্মথকরা ঠাকুরচর চৌরাস্তা থেকে শুরু করে ছেংগারচর জেনারেল হাসপাতালের সামনে এলে পুলিশ তাদের গতি প্রতিরোধ করে।

এদিকে এমপির সর্মথকরা ছেংগারচর পৌর আওয়ামী ও সহযোগী সংগঠনের কার্যালয় থেকে রুহুল ভাই রুহুল ভাই বলে মিছিল বের করে থানার সামনে গেলে পুলিশ তাদের গতিরোধ রোধ করেন।

এ দিকে বারোআনী, জোড়খালী, কেশাইরকান্দি, নিজ ছেংগারচর, বালুচর গ্রাম থেকে মায়া গ্রুপের সর্মথকরা মায়া ভাই, মায়া ভাই বলে আরেকটি মিছিল করে ছেংগারচর সরকারি ডিগ্রি কলেজের সামনে এলে পুলিশ তাদের গতিরোধ করে।

এদিকে ছেংগারচর জেনারেল হাসপাতালের সামনে মায়া গ্রুপের সর্মথকরা সমাবেশ করে। এসময় বক্তব্য রাখেন – উপজেলা আওয়ামী লীগের সন্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আল মাহমুদ টিটু, পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির খান, উপজেলা শ্রমিকলীগ নেতা শামীম প্রধান।

ছেংগারচর সরকারি ডিগ্রি কলেজের সামনে মায়া গ্রুপের পৃথক সমাবেশ বক্তব্য রাখেন- পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মনির হোসেন বেপারি, সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান ঢালী, কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লা, সাবেক কাউন্সিলর খোকন প্রধান, পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রিপন।

এসময় তারা বলেন, আমার মায়ার কর্মী। আমরা বাজারে মিছিল ও সমাবেশ করার সময় এমপি রুহুলের লোকজন আমাদের মিছিল ও সমাবেশ পন্ড করতে অপচেষ্টা করছে।

থানার সামনে রুহুল গ্রুপের সর্মথকরাও শান্তিপূর্ণ ভাবে সমাবেশ করেন। এসময় বক্তব্য রাখেন – ছেংগারচর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসান কাইয়ুম চৌধুরী, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রতন ফরাজি, উপজেলা যুবলীগের তথ্য ও গবেষনা বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. মহসিন মিয়া মানিক, প্রচার সম্পাদক রেফায়েত উল্লাহ দর্জি, পৌর যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবুল ফরাজী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মোল্লা, সাংগঠনিক সম্পাদক জামান সরকার, পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহবুব আলম বাবু, পৌর যুবলীগ নেতা ওমর খান, নাজমুল খান, মুছা বেপারী প্রমুখ।

তারা বলেন, এ্যাড. রুহুল আমিন এমপি হওয়ার পর থেকে মতলব উত্তরে মানুষ শান্তি প্রিয় ভাবে বসবাস করছে। কিন্তু ইদানীং কিছু সন্ত্রাসী এলাকায় ঢুকে শান্ত মতলবকে অশান্ত করে তুলছে। তাই আমরা শান্তির লক্ষে আমাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাবো।

এবিষয়ে মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শাহজাহান কামাল বলেন, রাজনৈতিক একই দলের দুই পক্ষের পৃথক কর্মসূচিকে ঘিরে সব ধরনের বিশৃঙ্খলা সহিংসতা এড়াতে পুলিশ মোতায়েন করা ছিল। কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

সহকারী পুলিশ সুপার (মতলব সার্কেল) ইয়াছির আরাফাত বলেন, পুলিশ খুব তৎপর ছিল। পুলিশ সঠিক দায়িত্ব পালন করে কৌশল অবলম্বন করায় কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

Loading

শেয়ার করুন: