মতলব উত্তরে ইসতিসকার নামাজের পরপরই বৃষ্টি!

 

মতলব উত্তর প্রতিনিধি

এলাকায় বর্ষায় বৃষ্টি নেই, চলছে প্রচণ্ড দাবদাহ, শুকিয়ে গেছে ডোবা ও পুকুরের পানি। মতলব উত্তরে এই প্রচণ্ড খরা ও অনাবৃষ্টি থেকে রক্ষা পেতে ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন এলাকাবাসী। নামাজের মোনাজাতের পরপরই মাঠে নেমে আসে রহমতের বৃষ্টি।

বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার সাড়ে পাঁচানী হোসাইনীয়া মাদ্রাসা মাঠে ও নিশ্চিন্তপুর ডিগ্রি কলেজ মাঠে ধর্মপ্রাণ সহস্রাধিক মুসল্লি এ নামাজ আদায় করেন। এছাড়াও বুধবার সকালে ছেংগারচর মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ইত্তেহাদুল ওলামা মতলব উত্তর এ নামাজের আয়োজনে বৃষ্টি কামনা করে ইস্তিসকার নামাজ ও দোয়া করা হয়।

নামাজ শেষে অনাবৃষ্টি ও প্রচণ্ড খরা থেকে রেহাই পেতে মহান রবের কাছে বিশেষ মোনাজাত করা হয়েছে। সাড়ে পাঁচানী হোসাইনীয়া মাদ্রাসা মাঠে নামাজে ইমামতি করেন উজানীর পীর আল্লামা আশেক-এ-এলাহী।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চলমান প্রচণ্ড দাবদাহে মতলব উত্তরে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। প্রচণ্ড খরতাপে পুড়ছে জনজীবন। মানুষের মাঝে নেমে আসছে চরম দুর্ভোগ, রোদ আর গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। গ্রামীণ জনপদের পুকুর ও ডোবায় পানির স্তর নেমে যাওয়ায় দেখা দিয়েছে পানি সংকট।

বর্ষা শেষ হলেও নেই বৃষ্টির দেখা। বৃষ্টি না হওয়ার কারণে নষ্ট হচ্ছে ক্ষেতের ফসল, দেখা দিয়েছে পানির তীব্র সংকট। কোথাও দেখা দিয়েছে সুপেয় পানির সংকট। তাই এ অনাবৃষ্টি থেকে উদ্ধার পেতে ও রহমতের বৃষ্টির জন্য এলাকাবাসীর আয়োজনে সালাতুল ইসতিসকার আদায় করা হয়।

সাড়ে পাঁচানী হোসাইনীয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা রেবাত উল্লাহ জানান, অনাবৃষ্টির কারণে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। তাই সাড়ে পাঁচানী হোসাইনীয়া মাদ্রাসার ও এলাকাবাসীর সঙ্গে পরামর্শক্রমে সালাতুল ইসতিসকার আয়োজন করা হয়। আলহামদুলিল্লাহ, নামাজের পরপরই রহমতের বৃষ্টি শুরু হয়।

Loading

শেয়ার করুন: