মতলব উত্তরে শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে কুরবানির পশুর হাট

মনিরা আক্তার মণি :

আগামী ১২ আগস্ট সোমবার পবিত্র ঈদুল আজহা। শেষ মুহূর্তে পশু কেনাকাটায় ব্যস্ত ক্রেতারা। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার পশুর হাটে পশু বেচাকেনায় ব্যস্ত সময় পার করছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। বাজারে বিদেশি গরুর চেয়ে দেশি গরুর কদর বেশি। আর বাজারগুলোতে পর্যাপ্ত পশু থাকায় দামটাও সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। বাজারগুলোতে পর্যাপ্ত পশু থাকায় দামও সহনীয় পর্যায়ে আছে বলে জানান ক্রেতারা। উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার প্রতিটি বাজার পরিদর্শন করেছেন।

বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। গরুর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের লোকজনও রয়েছে বলে জানান উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. ফারুক হোসেন।

আবার ক্রেতাদের চাহিদার কথা বিবেচনা করে বাজার কর্তৃপক্ষ মাইকিং করে নির্দিষ্ট হাটের দিনের বাইরে পশুর হাট বসানোর ঘোষণা দিয়েছে।

উপজেলার যে কয়টি বড় পশুর হাট রয়েছে তার মধ্যে ছেংগারচর, লুধুয়া আমতলা, কালিপুর, মোহনপুর, নতুনবাজার, কালিরবাজার, সুজাতপুর ঘুরে দেখা গেছে, দেশি গরুতে বাজার সয়লাব। বাজারে ক্রেতার উপস্থিতি ও বিক্রিও ভালো। তবে ক্রেতাদের কাছে মাঝারি গরুর চাহিদা একটু বেশি। তবে ১টি বড় সাইজের দেড়শ থেকে ২শ’ কেজি ওজনের গরুর চেয়ে ১শ’ কেজি ওজনের গরুর দাম একটু বেশি মনে হচ্ছে।

ক্রেতা সফিক রানা বলেন, চাহিদার তুলনায় বাজারে প্রচুর দেশি গরু উঠেছে। ক্রেতাদের কাছে মাঝারি সাইজের গরুর চাহিদা বেশি।

ছেংগারচর বাজারের গরু ব্যবসায়ী জামাল বলেন, কুরবানি ঈদকে সামনে রেখে বিভিন্ন বাজার থেকে ছোট-বড় সাইজের ১০টি গরু ৮ লাখ ২২ হাজার টাকায় ক্রয় করেছি। এ পর্যন্ত ৭টি গরু ৬ লাখ ৮৭ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি। ৩টি বড় সাইজের গরু এখনো বিক্রি করতে পারিনি। বাজারে বড় সাইজের গরুর দাম একটু কম মনে হচ্ছে।

Loading

শেয়ার করুন: