মতলব সরকারি হাসপাতালে ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের দালালদের উৎপাত

মতলব প্রতিনিধি:

মতলব দক্ষিণ উপজেলার ৫০শয্যা বিশিষ্ট সরকারি হাসপাতালে স্থানীয় ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের নিয়োগপ্রাপ্ত দালালদের উৎপাত লক্ষ করা গেছে। তারা বেশ কয়েকদিন ধরে হাসপাতালের আউটডোরে ঢুকে ডাক্তারের চেম্বারে গিয়ে অধিক মুনাফার আশায় রোগীদের টানা হেচড়া করে যার যার মত বিভিন্ন ডায়াগনষ্টিক সেন্টার ও প্যাথলোজিতে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে আউটডোর ডাক্তারদের নেই কোন পদক্ষেপ।

মতলব সরকারি হাসপাতালের অভিমুখে প্রায় ৭/৮টি ডায়াগনষ্টিক সেন্টার ও প্যাথলোজি রয়েছে। এক এক প্রতিষ্ঠানের মালিক আড়াআড়ি করে কিছু বহিরাগত লোক বেতন দিয়ে নিয়োগ করে হাসপাতালে আউটডোরে পাঠায়। দুরদুরান্ত থেকে আসা রোগীরা বের হলে তারা বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে তাদের নিজস্ব ডায়াগনষ্টিক সেন্টার ও প্যাথলোজিতে নিয়ে যায়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, হাসপাতালের ডাক্তারদের সাথে অনেক মালিক পক্ষের সাথে সম্পর্ক রয়েছে। আউটডোর মেডিক্যাল অফিসারদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রয়েছে। মেডিক্যাল অফিসার রিয়া সুলতানা’র চেম্বারে গেলে দেখা যায় দু’জন দালাল বসে রয়েছে। তার চেম্বারে টাকার বিনিময় প্রেসক্রিপশন করতে লক্ষ্য করা গেছে। সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে অনেক দালালরা সেখান থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায়।

এ বিষয়ে মেডিক্যাল অফিসার রিয়া সুলতানা বলেন, আমি প্রেসক্রিপশন করছি তবে ভিজিট নিবো না। তবে আমাকে জিজ্ঞেস করে ছবি তোলা প্রয়োজন ছিল।

আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার রাজিব কিশোর বনিক বলেন, দালালদের কে আমরা নিষেধ করা সত্ত্বে ও তারা ঢুকে পড়ে।

উপজেলা স্বাস্থ্য প.প. কর্মকর্তা গোলাম কাউছার হিমেল বলেন, এ সমস্ত দালালদের কে ধরে থানায় সপর্দ করেছি। তারপরও তারা এ রকম করছে।

মতলব দক্ষিণ থানার অফিসার ইনচার্জ মহিউদ্দিন মিয়া বলেন, আমার লোকজন গিয়ে দালালদের কয়েকবার ধরেছে। হাসপাতালে না ঢুকার মলিকপক্ষকেও বলা হয়েছে। তারপরও বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখবো।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক ও প্রাক্তন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: এ.কে.এম মাহাবুবুর রহমান বলেন, মতলব সরকারি হাসপাতালে মহিলা দালালে ভরপুর। আমিও তো দায়িত্বে ছিলাম কিন্তু আমার সময়ে এমন দালালের উৎপাত ছিলো না।

Loading

শেয়ার করুন: