মেরামত না হলে বর্ষায় মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্প বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ

গত বর্ষার শেষের দিকে মতলব উত্তর উপজেলার মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের জনতা বাজার অঞ্চল দিয়ে মূলবাঁধের ১২৫ সেন্টি মিটার অংশ অনেক গভীর হয়ে ভেঙ্গে যায়। ভয়াবহ মেঘনা নদীর স্রোত আমিরাবাদ বাজার ও ভাঙ্গন এলাকা জনতা বাজার এলাকা দিয়ে মূল বেড়িবাঁধে আঘাত করে।

জনতা বাজারের সেই ভাঙ্গন এলাকায় অদ্যবধি স্থায়ী কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এখনই যদি স্থায়ী ব্যবস্থা নেয়া না হয় তবে বর্ষায় বাঁধের এই জনতা বাজার অঞ্চল দিয়ে বাঁধ ভেঙ্গে দিয়ে সব একাকার হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

১৭ হাজার ৫৮৪ হেক্টর জমি নিয়ে হাজার ১৯৮৮ সালে নির্মিত হয় ৬০ কিলোমিটার মতলবের এই মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্প। সেই ৮৮ সালের পর মতলব উত্তরে বাঁধ এর ভিতরে রাস্তাঘাট, হাট-বাজার, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, বাড়ি-ঘর সবই নির্মিত হয়েছে নিচু জমিতে। ইতিমধ্যেই এই বাঁধ দু’বার ভেঙ্গে গিয়েছিল, তখন বাঁধবাসী ৫ লক্ষাধিক মানুষের যে দুর্দশা হয়েছিল যা চোখে না দেখলে বিশ্বাস করার মতো না।

তাই সেই অভাবনীয় দুর্দশার কথা উল্লেখ করে জনতা বাজার অঞ্চলের জসিম উদ্দিন মোল্লা, ওয়ালী উল্লাহ দেওয়ান’সহ স্থানীয় আরো কয়েকজন জানান, জনতা বাজার অঞ্চলে ভেঙ্গে যাওয়া অংশটুকু খুবই দ্রুত এবং স্থায়ী মেরামত করা না হয় তবে বর্ষায় এই অঞ্চল দিয় ধনাগোদা বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে বাঁধবাসীর চরম ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এ বিষয়ে মেঘনা-ধনাগোদা পানি ব্যবস্থাপনা ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সরকার মোহাম্মদ আলাউদ্দিন বলেন, সেচ প্রকল্পের জনতা বাজার অঞ্চলে ভাঙ্গা অংশটুকু এখনই স্থায়ী মেরামত করা না গেলে বর্ষায় বাঁধবাসী মানুষের চরম বিপদ হতেপারে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, সেচ প্রকল্প বাঁধের জনতা বাজার অঞ্চলে টেকসই বা স্থায়ী মেরামতের জন্য বরাদ্দ চাওয়া হয়েছিল কিন্তু করোনা কালীন সময়ের কারণে ফান্ড স্বল্পতা রয়েছে। তবে এই বর্ষা মোকাবেলার জন্য সাময়িক মেরামতের কাজ সহসাই কাজ শুরু হবে।

Loading

শেয়ার করুন: