মেয়র প্রার্থী এ্যাড. জিল্লুর রহমান জুয়েলের দিনব্যাপী গণসংযোগ ও উঠোন বৈঠক

আনোয়ারুল হক:

চাঁদপুর পৌরসভা নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা মনোনীত নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী এ্যাড. জিল্লুর রহমান জুয়েল ১০ মার্চ মঙ্গলবার সারাদিনব্যাপী ২নং ওয়ার্ডে গণসংযোগ ও উঠোন বৈঠক করেন।

গণসংযোগ ও উঠোন বৈঠকে তিনি বলেন, পুরাণবাজারে ১৯৭০ সালের আগে আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিলো। এখানে আমাদের অনেক আত্মীয় ১০জন রয়েছে। এখানকার একজন ব্যবসায়ীর সন্তান হিসেবে সকলের আপনজন। আমি সকলের সন্তান ও ভাইতুল্য। অবিভক্ত ভারত বর্ষের পুরাণবাজারে বাণিজ্যের গুরুত্ব ছিলো। ভৌগলিক কারণে ভারত বর্ষের প্রসিদ্ধ বাণিজ্য কেন্দ্র হিসেবে পুরাণ বাজার গড়ে উঠে। নৌপথে ভারত বর্ষ, বৃটেনের লন্ডনসহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে মালবাহী জাহাজ চাঁদপুর আসতো। এখান থেকে সড়ক ও রেলপথে আসামসহ ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় বাজারগুলোতে মালামাল ও যাত্রী পরিবহন করা হতো। তাই চাঁদপুরকে আসাম-বেঙ্গল গেটওয়ে বলা হতো। পুরাণবাজারের বাণিজ্য ও চাঁদপুরের যোগাযোগ ব্যবস্থা কেন্দ্র করেই এ ছোট শহরটিকে একশ পঁচিশ বছর পূর্বে চাঁদপুর পৌরসভা হিসেবে ঘোষনা করে। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির পর পুরাণবাজারে বাণিজ্যিক পরিধি ও গুরুত্ব কমে আসে। আমি আপনাদের ভোটে নির্বাচিত হলে আমার প্রথম কাজ হবে পুরাণবাজারে বাণিজ্যিক ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা। বর্তমান মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ আমাদের সকলের শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তি। তিনি চাঁদপুর পৌরসভার ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। তার অনেক উন্নয়ন প্রকল্প চলমান রয়েছে। আমি তার উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখবো। পরিকল্পিতভাবে উন্নয়ন করে চাঁদপুরকে একটি বাণিজ্যিক কেন্দ্র ও পর্যটন নগরী হিসেবে বিশ্বে আবার নতুন করে পরিচিত করে তার হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনবো।
তিনি আরো বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে সৎ জীবন যাপন করেছি। অন্যায়ের কাছে মাথানত করিনি। আমি নির্বাচিত হলে সততার সাথে দায়িত্ব পালন করবো। জীবন দিয়ে হলেও মাদকমুক্ত পুরাণবাজার তথা চাঁদপুর গড়ে তুলবো। আপনারা ড্রেনেজ, রাস্তাঘাটের সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন, আমি নির্বাচিত হলে এসব সমস্যার সমাধান করবো।

সকালে ২নং ওয়ার্ডের লোহারপুল এলাকায় গনসংযোগের মাধ্যমে দিনব্যাপী গনসংযোগের কার্যক্রম শুরু করেন।

এ সময় তিনি মধ্য শ্রীরামদী, পশ্চিম শ্রীরামদী, রয়েজ রোড, ঘোষপাড়া, রামদাসদী রোড, ম্যারকাটিজ রোড, কবরস্থান রোড, নতুন রোডসহ বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় সন্ধ্যা পর্যন্ত গণসংযোগ ও উঠোন বৈঠক করেন।

বাগে জান্নাত কবরস্থান জামে মসজিদে যোহর নামাজ আদায় শেষে কবর জিয়ারত করেন। এরপর হরিসভা মন্দিরে গিয়ে বক্তব্য রাখেন। এরপর কবরস্থান রোডে উঠোন বৈঠক করেন।

এ সময় বক্তব্য রাখেন ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও চাঁদপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি অ্যাড. জাহিদুল ইসলাম রোমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. মজিবুর রহমান ভূঁইয়া, জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক অজয় ভৌমিক, সহ-দপ্তর সম্পাদক এ্যাড. রনজিত রায় চৌধুরী, ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান বাবুল।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী বেপারী, আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাধা গোবিন্দ গোপ, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-প্রচার সম্পাদক ইমাম হাসান বাদশা, পৌর জেলা পরিষদ সদস্য মুকবুল হোসেন মিয়াজী, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নেতা নুরুল হায়দার সংগ্রাম, সাবেক কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম সুমন, আওয়ামী লীগ নেতা কামাল হাওলাদার, জাহাঙ্গীর খন্দকার, শাহজাহান মাতাব্বর, জাহাঙ্গীর গাজী, আলমগীর গাজী, উজ্জ্বল তালুকদার, ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি শাহাদাত পাটোয়ারী ও সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম প্রমুখ।

Loading

শেয়ার করুন: