লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নে মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার নতুন পাকাঘর পেল ৫৭ গৃহহীন পরিবার

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চাঁদপুর সদরে মুজিব শতবর্ষে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীসহ নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত আরো ৫৭ পরিবার পেয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার পাকাঘরের নতুন ঠিকানা। আর তাদের এই ঠিকানা করে দেয়া হয়েছে ১০নং লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের লক্ষীপুর গ্রামে। যাদেরকে ইতিমধ্যেই জমির মালিকানার দলিল হাতে হাতে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। এ কারনে উপকারভোগী অসহায় পরিবারগুলো বেজায় খুশি।
৪ আগস্ট বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর গৃহ নির্মাণ প্রকল্পে লক্ষ্মীপুর গ্রামে নির্মাণ করা পাকা ওই ঘরগুলোতে বসবাসকারীদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসাবে খাদ্য সামগ্রীও বিতরণ করা হয়। এ উপলক্ষে চাঁদপুর সদর উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত প্রধানমন্ত্রীর উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে ভিডিও কলের মাধ্যমে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন শিক্ষামন্ত্রী ও চাঁদপুর-৩ চাঁদপুর সদর ও হাইমচর আসনের সংসদ সদস্য ডাঃ দীপু মনি।

তিনি বলেন, জাতির পিতার গৃহীত প্রথম উদ্যোগ ছিলো গৃহহীনদের পুনর্বাসন। জাতির পিতা ১৯৭২ সালের ২০ ফ্রেব্রুয়ারি তৎকালীন নোয়াখালীর বর্তমান লক্ষীপুরের রামগঞ্জে চরপোড়াগাছা গ্রাম পরিদর্শনে গিয়ে অসহায় আশ্রয়হীন পরিবারগুলোর পুনর্বাসন শুরু করেন।

তিনি বলেন, ‘মুজিববর্ষে বাংলাদেশে একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না এবং তা বাস্তবায়নে জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে। মন্ত্রী বলেন, চাঁদপুর সদরে গৃহ পাওয়া উপকারভোগীর বেশির ভাগই পদ্মা, মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদী ভাঙ্গণে ক্ষতিগ্রস্ত। যারা সহায় সম্বলহীনভাবে মাথা গোঁজার ঠাঁই পাবার আশায় দীর্ঘদিন দিনাতিপাত করছিলো। আর সেই দুঃখ লাঘব করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর প্রধানমন্ত্রীর ‘একটি পরিবার ও গৃহহীণ থাকবে না’ এই স্লোগানটি বাস্তবায়ন করতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের এই মহৎ কাজটি জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশের সার্বিক তত্ত্বাবধানে চাঁদপুর সদরের ইউএনও সানজিদা শাহনাজ সুন্দরভাবে বাস্তবায়ন করেছেন। আর তাকে এ কাজে সহযোগিতা করেছেন এসিল্যান্ড সদর এবং লক্ষীপুর ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম খানসহ অন্যরা।

মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ যেন অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান পায়। তার স্বপ্ন ছিল একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না। এজন্য তিনি গুচ্ছগ্রাম এবং ভূমিহীন গৃহহীনদের মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দিতে আশ্রায়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছিলেন। তার সুযোগ্য কন্যা একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পিতার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তিনি ভিটেমাটি হারা অসহায় মানুষগুলোকে মাথা গোঁজার ঠাই করে দেওয়ায় চাঁদপুরবাসীর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

অনুষ্ঠানে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক অন্জনা খান মজলিশের সভাপতিত্বে এবং চাঁদপুর সদরের ইউএনও সানজিদা শাহনাজের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডাঃ জেআর ওয়াদুদ টিপু, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডঃ মজিবুর রহমান ভূঁইয়া, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী বেপারী, চাঁদপুর প্রেসক্লাব সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটওয়ারী, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান টুটুল।

এ সময় নতুন ঘর পাওয়া উপকারভোগীদের মধ্যে নিজেদের অনুভূতি প্রকাশ করেন, দেলোয়ার হোসেন, পিংকী রানী, মেঘনাথ ত্রিপুরা ও শামছুল ঢালী। চাঁদপুর সদরের এসিল্যান্ড হেলাল চৌধুরী ও স্থানীয় ইউপি সদস্যগণ,ঘর পাওয়া পরিবারের সদস্য, গ্রাম পুলিশ ও গণমাধ্যম কর্মীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

পরে উপকারভোগী পরিবারগুলোর মাঝে খাদ্য সহায়তা বিতরন এবং সেখানে বেশ কয়েকটি ফলজ বৃক্ষ ঘরের সামনে রোপন করা হয়।

জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেন, এইসব পরিবারগুলো নদী ভাঙ্গনের শিকার হয় খুবই অসহায় অবস্থায় জীবন যাপন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী তাদেরকে ঘর উপহার দেওয়ায় এখন মাথার উপর বেঁচে থাকার আশ্রয় পেয়েছেন তারা প্রধানমন্ত্রীর উপহার নতুন পাকা ঘর পেয়ে আনন্দে আছে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ইচ্ছা স্বপ্ন আমরা পূরণ করতে চাই। চাঁদপুর জেলার একটি পরিবারও গৃহহীন থাকবে না। এখানে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ত্রিপুরা উপজাতি ১০ টি পরিবারকে বসবাস করার জন্য পাকা ঘরে দেওয়া হয়েছে।

Loading

শেয়ার করুন: