লাকসাম থেকে অপহৃত শিশু চাঁদপুরে উদ্ধার

কুমিল্লা জেলার লাকসাম থেকে ১৭ জানুয়ারি নিখোঁজ হওয়া অপহৃতা শিশু কন্যা খাদিজা (৮) কে চাঁদপুরে ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করায় ১৮ জানুয়ারি দিনগত রাত দুইটায় উদ্ধার করেছে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ।

নিখোঁজের ৪দিন পর আজ বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) শিশুর অভিভাবকের নিকট হস্তান্তরে পরে বিকাল ৩টায় সাগরিকা এক্সপ্রেস যোগে তাকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।

শিশু খাদিজার গ্রামের বাড়ী কুমিল্লা জেলার চান্দিনা উপজেলার জিনাইয়া গ্রামে। বর্তমানে তারা লাকসাম উপজেলার নশদপুর এলাকায় বাড়া বাড়ীতে থাকেন।

এর আগে বুধবার রাতে সাধারণ ডায়েরীভুক্ত করে খাদিজার পিতা মো. হোসেন আহম্মেদ ও মাতা রেহেনা বেগম চাঁদপুর মডেল থানায় আসলে তাদের কাছে শিশুকে আনুষ্ঠানিকভাবে বুঝিয়ে দেন ওসি নাসিম উদ্দিন।

পুলিশ জানায়, ১৯ জানুয়ারি মধ্যরাতে চাঁদপুর শহরের কোর্টস্টেশন এলাকায় শিশুটির সন্ধান পায় পথচারীরা। পরে ৯৯৯ কল দিলে মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সোহাগ ভুঁইয়া ও সঙ্গীয় ফোর্স উদ্ধার করে এনে থানা হেফাজতে রাখে।

এদিকে পিতা-মাতা শিশু খাদিজাকে হারিয়ে যখন নির্বাক ছিল, বুধবার রাতে চাঁদপুর মডেল থানায় শিশুটিকে কাছে পেয়ে দেখা গেল তারা যেন আমাবর্ষার চাঁদ পেয়েছে। তারা তাদের প্রিয় সন্তানকে কাছে পেয়ে মনের আনন্দে উল্লাসিত হয়ে কোলে তুলে নেয়। শিশুটি গত ১৭ জানুয়ারী লাকসাম স্টেশনে আসলে সুকৌশলে অপহরন চক্র শিশুটিকে ট্রেনে চাঁদপুর নিয়ে আসে।

পুলিশ ধারনা করছে, ওই চক্রটি শিশুটিকে হয়তো কোন কারণে না নিতে পেরে কোর্ট স্টেশনে ফেলে যায়। শিশু খাদিজা যখন পিতা-মাতাকে হারিয়ে পেটের ক্ষুদায় ছটফট ও কান্না-কাটি করছিল, ঠিক তখনই পথচারীরা ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করে সংবাদটি পুলিশকে জানায়।

সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষনিক চাঁদপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো: নাসিম উদ্দিনের নির্দেশে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ শিশু কন্যাটিকে উদ্ধার করে। ওসি শিশুটিকে নিজ খরচে খাদ্যসহায়তা সকল সহযোগিতা করেন।

ওসি নাসিম উদ্দিন বলেন, শিশুটিকে পেয়ে আমি জেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তাকে অবহিত করি। পরবর্তীতে কুমিল্লার চান্দিনা, লাকসাম ও লাকসাম রেলওয়ে থানায় যোগাযোগ করে তাদের সহযোগিতায় শিশুটির পিতা-মাতার সন্ধান পেয়ে আসার জন্য বলা হয়। বুধবার দিনগত রাত সাড়ে ১০টায় লাকসাম রেলওয়ে পুলিশ (জিআরপি) এর সোর্স মোহাম্মদ আলমগীর শিশুর পিতামাতাকে নিয়ে থানায় উপস্থিত হয়। রাতে শিশুসহ পুরো পরিবারকে শহরের আবাসিক হোটেলে রাখার ব্যবস্থা করা হয় এবং আজ বিকেলে তারা নিজ বাড়িতে চলে যায়।

Loading

শেয়ার করুন: