সন্তানদের সমৃদ্ধ জীবনের আশায় গ্রেনেড হামলায় নিহত আতিকের পরিবার

মতলব উত্তর ব্যুরো :

বিগত ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে গ্রেনেড হামলায় অন্যদের সঙ্গে নিহত হন আতিকুর রহমান। তার গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের মতলব উত্তরের পাঁচআনি গ্রামে। পেশায় ঢালাই কারখানার শ্রমিক আতিকুর রহমান সেদিন নেশার টানে ছুটে যান বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের সমাবেশে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত লাশ হয়ে ফিরলেন গ্রামের বাড়িতে। ১৭ বছর আগের এই ঘটনায় নিহত আতিকের পরিবার আর্থিক সহায়তা পেলেও এখনো সুখের নাগাল খুঁজে পাননি। সন্তানদের সমৃদ্ধ জীবনের আশায় আশায় দিন কাটছে এই পরিবারের সদস্যদের।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আতিকের বড় মেয়ে তানিয়া আক্তারের বিয়ে হয়েছে কয়েক বছর আগে। আতিকের স্ত্রী লায়লী বেগমের সঙ্গে এখন তিন ছেলে আছে। এদের মধ্যে বড় ছেলে মিথুন নারায়ণগঞ্জ সরকারি তোলারাম কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পরীক্ষা দেওয়ার কথা রয়েছে। অপর দুই সন্তান মিন্টু অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ে আর এগুতে পারেনি। ছোট ছেলে সাকিব এলাকার একটি স্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।

এবং এফডিআর মিলিয়ে ৩৬ লাখ টাকার সহায়তা দিয়েছেন। এতেই তার সংসার চলছে। তবে লাইলী বেগমের প্রত্যাশা ভবিষ্যতে তার তিন সন্তানের প্রতি যেন প্রধানমন্ত্রী খেয়াল রাখেন।

এদিকে,গ্রেনেড হামলায় নিহত আতিকুর রহমানের বৃদ্ধা মা খোরশেদা বেগম জানান, সন্তান হত্যার বিচারে যদের সাজা হয়েছে। মৃত্যুর আগে তাদের শাস্তি দেখে যেতে চান তিনি।

অন্যদিকে,মতলব উত্তর মোহনপুর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে ২১ আগস্ট উপলক্ষে শনিবার বিকেলে মিলাদ ও দোয়ার আয়োজন করেছে।

প্রসঙ্গত,শ্রমিক লীগের সক্রিয় সদস্য আতিকুর রহমান রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে একটি ঢালাই মেশিন তৈরির কারখানায় শ্রমিক ছিলেন।

Loading

শেয়ার করুন: