সাবেক প্রধানমন্ত্রী মিজানুর রহমান চৌধুরীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে চাঁদপুরে আলোচনা সভা

মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সাবেক প্রধানমন্ত্রী মিজানুর রহমান চৌধুরীর ১৫ তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন উপলক্ষে তাঁর স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৫ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বাদ জুমা পুরানবাজার চৌধুরী বাড়ি ও বায়তুল হাফিজ জামে মসজিদে এ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া ও মুনাজাত পরিচালনা করেন জাফরাবাদ হাফিজিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম হযরত মাওলানা খাজা আহম্মদুল্লাহ।

ব্যারিস্টার জহির উদ্দিন বাবরের ব্যবস্থাপনায় দোয়া পূর্বক আলোচনায় বক্তব্য রাখেন, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌরসভার সাবেক মেয়র নাছির উদ্দিন আহমেদ,মিজানুর রহমান চৌধুরী স্মৃতি সংসদের সভাপতি ও সুপ্রিমকোর্ট বার এসোসিয়শনের সহ-সভাপতিঅ্যাডঃ সাফিকুল ইসলাম বাবুল, জাতীয়পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এজাজ আহমেদ খান মুক্তা, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডঃ একেএম আসিফুল হক, অ্যাডঃ সফিকুল ইসলাম সফিক, অ্যাড. আব্দুর রহিম, ওসমান গণি প্রমুখ।

উক্ত দোয়া ও আলোচনা সসভায় জেলা আওয়ামীলীগ নেতা হাসান ইমাম বাদশা, চাঁদপুর চেম্বার পরিচালক ফয়সাল আহমেদ চৌধুরী, মিজান চৌধুরী স্মৃতি সংসদের সদস্য আতিকুর রহমান,নুরুল ইসলাম চৌধুরীসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় বক্তারা বলেন,মিজান চৌধুরী একজন অমায়িক লোক ছিলেন। তিনি আওয়ামী লীগের জন্যে অনেক কিছু করেছেন। তিনি দলের জন্যে অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন। দেশের স্বাধীনতার সার্বভৌমত্ব রক্ষায় তিনি সামনের সারি থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। আজকে আমাদের দল স্বার্থকভাবে দেশ পরিচালনা করছে। যার ফলে এদেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হচ্ছে।

আজকে অনেকেই মিজানুর রহমান চৌধুরীকে ভুলে গেছেন। তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে কার্পণ্য করে। আমরা এই নেতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।

চাঁদপুর জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী মিজানুর রহমান চৌধুরী আমাদের গর্ব। তিনি একজন আগাগোড়া রাজনীতিক ছিলেন। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। জীবদ্দশাায় তিনি অনেক জনহিতকর কাজ করেছেন। এদেশের সাধারণ মানুষের ভালোবাসা তাঁর প্রতি ছিলো ।চাঁদপুরে ওনার মতো নেতা আর হবে কিনা, আমার সন্দেহ আছে।

তিনি আরো বলেন, আজ থেকে ১৫ বছর আগে মিজানুর রহমান চৌধুরীর মৃত্যুর দিনে বড় ছেলে মরা গেছেন। আমরা তাঁর রুহের মাগফেরাত কামনা করছি। মিজানুর রহমান চৌধুরী তার ভালো কাজের উছিলায় যেনো জান্নাতলাভ করেন, সেই দোয়া করছি। আমার এবং জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।

Loading

শেয়ার করুন: