হাজীগঞ্জের শিশু আরাফের মরদেহ চট্রগ্রামে পানির টাঙ্কি থেকে উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চট্রগ্রামে নির্মমভাবে খুন করা হয়েছে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের মাত্র ২ বছরের শিশু আবদুর রহমান আরাফকে।
রবিবার (৭ জুন) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আরাফ নিখোঁজ হয়।

রাত সাড়ে ৮টার সময় চট্রগ্রামের বাকুলিয়া থানাধীন মিয়া খান নগর এলাকার ম্যাচ ফ্যাক্টরী মুনসুর আলী রোডের আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল আলম মিয়া প্রকাশ মিয়া’র ৭তলা বিল্ডিংয়ের পানির টাঙ্কি থেকে শিশুর নিথর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত শিশু আরাফের বাবা আবদুল কাইয়ুম ওই বাসার নিচতলায় স্ব-পরিবারে বাসা ভাড়া থাকেন। তাদের গ্রামের বাড়ী চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার ৯নং গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের তারালিয়া গ্রামে। তিনি চট্রগ্রামে অপসোনিন ফার্মার সিনিয়র মেডিকেল অফিসার পদে কর্মরত।

আবদুল কাইয়ুম জানান, রবিবার বিকেল সাড়ে ৫টার সময় আমার স্ত্রী আমাকে ফোন করে জানান, আমার ছেলে আবদুর রহমান আরাফ’কে পাওয়া যাচ্ছেনা। সাথে সাথে আমি কর্মস্থল থেকে বাসায় ছুটে যাই। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজেও তার সন্ধান না পাওয়ায় মাইকিং করা হয়। রাত ৮টায় বাকুলিয়া থানায় জিডি করতে যায়। জিডি করে বের হওয়ার পর এলাকার কেউ একজন আমাকে ফোনে জানায় বাড়ীর ছাদে পানির টাঙ্কিতে আরাফের মৃতদেহ পাওয়া গেছে।

তিনি জানান, পরে পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজে নিয়ে যায়। রাতে এ ব্যাপারে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

তিনি কান্না কণ্ঠে জানান, আমার ছেলে আরাফ মাত্র এক পা ২ পা হাটতে পারে। তারতো কোন শত্রু নেই। আমার সাথে এ এলাকার কারো পরিচিতও নেই। তাহলে নির্মমভাবে আমার শিশুটিকে কে বা কাহারা হত্যা করলো।

আবদুল কাইয়ুম মুঠোফোনে জানান, ওই বাড়ীর ছাদে উঠতে হলে ৩টি গেইট আছে। গেইট গুলো তালা লাগানো থাকে। বাড়ির মালিকের কর্মচারি বা মালিক ছাড়া কারে কাছে চাবি থাকার কথা নয়। তাহলে শিশুটির মৃতদেহ ছাদে গেলো কি করে।

এ বিষয়ে বাকুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মুঠো ফোনে জানান, বিষয়টি খুবই মর্মান্তিক। আমরা গুরুত্বসহকারে তদন্ত করেছি। অনেক দূর এগিয়েছি। রাতে কোন একটি রেজাল্ট পাওয়া যেতে পারে।

Loading

শেয়ার করুন: