হাজীগঞ্জে স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

হাজীগঞ্জে এক স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে ওই ছাত্রীর ভাই মামলা করেছেন। স্থানীয় আব্দুল লতিফের ছেলে সাখাওয়াতসহ অন্যরা মেয়েটিকে স্কুলে যাওয়ার পথে অপহরণ করে চট্টগ্রামে নিয়ে ৩ দিন আটকে রাখার অভিযোগে ওই ছাত্রীর ভাই গত বৃহস্পতিবার রাতে মামলাটি করেন। মামলা নং ০৫। মামলার আসামীরা হলো সাখাওয়াত হোসেন (২০), তার বড় ভাই মীর হোসেন (২৬) ও তাদের পিতা মোঃ আবদুল লতিফ। ইতিমধ্যে পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্যে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের জগন্নাথপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী (১৮) ওই ছাত্রীটি দীর্ঘদিন ধরে স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে একই ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামের পূর্ব ফরাজী বাড়ির আবদুল লতিফের ছেলে বখাটে সাখাওয়াত তাকে প্রেম নিবেদন করাসহ বিভিন্ন কু-প্রস্তাব দিয়ে বিরক্ত করে আসছিলো। বিষয়টি ছাত্রীটি তার পরিবারের লোকজনকে জানালে পরিবারের পক্ষ থেকে সাখাওয়াতের পরিবারসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানায়। তাতেও সাখাওয়াতকে থামানো যায়নি। ২৯ জুলাই সোমবার দুপুরে ছাত্রীটি স্কুলে যাওয়ার পথে সাখাওয়াতসহ তার সহযোগী কয়েকজন ওই ছাত্রীকে চেতনানাশক জাতীয় কিছু দ্রব্য দিয়ে অচেতন করে সিএনজি অটোরিঙ্ায় করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ছাত্রীটির জ্ঞান ফিরলে সে বুঝতে পারে একটি বহুতল ভবনের বন্ধ ঘরে সে আছে। সেখানে তাকে কয়েকবার ধর্ষণও করা হয়।

১ আগস্ট বৃহস্পতিবার দিবাগত ভোর ৪টায় ওই ছাত্রীকে অচেতন অবস্থায় তার গ্রামের বাড়ির সম্মুখে এনে ফেলে দিয়ে যায় অপহরণকারীরা। একটু ভোর হলে বাড়ির লোকজন ডাক-চিৎকার করে তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর তার জ্ঞান ফিরলে সে পরিবারের সকলকে ঘটনাটি খুলে বলে।

এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর হোসেন চাঁদপুর কণ্ঠকে জানান, এ ঘটনায় ৩ জনকে আসামী করে নির্যাতিত ছাত্রীর বড় ভাই মামলা দায়ের করেছে। ভিকটিমকে মেডিকেল করানোর জন্যে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। আসামীদের ধরার জন্যে অভিযান অব্যাহত আছে।

Loading

শেয়ার করুন: