৫শ’ ৫৬ পরিবারের বাড়ীতে ত্রান পৌঁছালো চাঁদপুর জেলা প্রশাসন

হাসান আল মামুন :

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধকালীন সময়ের মধ্যে চাঁদপুর জেলা প্রশাসন এর পক্ষ থেকে বেশ ক’টি উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে। তার মধ্যে ‘ত্রান যাবে বাড়ি’ প্রোগ্রামের মধ্যে রোববারসহ ৫ দিনে ৫শ’ ৫৬ পরিবারের বাড়ীতে ভলান্টিয়ারের মাধ্যমে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছানো হয়েছে। এই ৫ দিনে এই প্রোগ্রামের জন্য দেয়া ২টি হট লাইন নম্বরে কল রিসিভ করা হয়েছে ১ হাজার’ ৩৯টি। জেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে এসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান জানান, রোববার (৫ এপ্রিল) ‘ত্রান যাবে বাড়ি’ হট লাইনে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ২৪০টি কল রিসিভ করা হয়েছে। তন্মধ্যে ১৩৩ পরিবারকে ভলান্টিয়ার দিয়ে তাদের বাড়ীতে ত্রান পৌঁছে দেয়া হয়েছে।

এর আগে শনিবার (৪ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত হট লাইনে ৩১৫টি কল রিসিভ করা হয়েছে। তন্মধ্যে ১৫৬ পরিবারকে ভলান্টিয়ার দিয়ে তাদের বাড়ীতে ত্রান পৌঁছানো হয়।

শুক্রবার (৩ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত হট লাইনে কল রিসিভ হয়েছে ১৯৩টি। তন্মধ্যে ১শ’ ১৯ পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা পৌঁছানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত হট লাইনে মোট কল রিসিভি করা হয় ১৯৮টি। তন্মধ্যে ১শ’ সাত পরিবারকে খাদ্য সহায়তা পৌঁছানো হয়।

বুধবার (১ এপ্রিল) প্রোগ্রামটি চালু হওয়ার দিন ৪১ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা পৌঁছানো হয়। হট লাইনে কল রিসিভ করা হয়েছে ৯৩টি।

এছাড়াও করোনা ভাইরাস প্রতিরোধকালীন সময়ে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান এর উদ্যোগে শহরের দু’টি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে ২০% মূল্য ছাড়ে নিত্য প্রয়োজনীয় পন্য ক্রয়, ২টি হসপিটাল ও ১টি ফার্মেসীতে একান্ত প্রয়োজনীয় ঔষধ ক্রয় করার ব্যবস্থা এবং শহরের আল-আরাফ, ক্যাফে ঝীল ও চাঁদপুর হোটেলে প্রতিদিন দুপুরে ৩শ’ জনকে বিনামূল্যে খাওয়ার ব্যবস্থা চালু করা হয়।

উল্লেখ্য, জেলা প্রশাসনের ‘ত্রান যাবে বাড়ি’ প্রোগ্রামে একজন নারী আইনজীবী ২০ হাজার টাকা দান করেছেন।

Loading

শেয়ার করুন: