৭১ এর হত্যাকারীরা ধর্মকে ব্যবহার করে ফের ফনা তুলছে : মেজর (অব) রফিক

নিজস্ব প্রতিবেদক:

গত ১৩ অক্টোবর রাতে হাজীগঞ্জে ঘটে নারকীয় ঘটনা। এদিন রাতে হাজীগঞ্জ বাজার এলাকার মতো উপজেলার কালচোঁ দক্ষিন ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের কয়েকটি পূজা মন্ডপ ও হিন্দু বাড়ি ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।

শুক্রবার বিকেলে সরজমিনে ঘটনাস্থলে যান চাঁদপুর ৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) নির্বাচনি এলাকার সাংসদ মেজর অব.রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপি। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মধ্যে ২ জন নারী ও শ্যামল সাহা নামের ১ জন পুরুষ সেদিন রাতের ঘটনা বর্ননা দিতে গিয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন। ভূক্তভোগীদের কথা শুনে সাংসদ নিজেই আপ্লুত হয়ে পড়েন।

রামপুরসহ হাজীগঞ্জে ১৩ অক্টোরব রাতে যারা উপজেলায় ন্যাক্কারজনক ঘটনায় জড়িত তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলে হুশিয়ারি দিয়ে মেজর অব রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপি বলেন, ধর্মকে ব্যবহার করে ১৯৭১ সালে তারা হিন্দু মুসলমানকে হত্যা করেঠিলো। আজ তাদের বংশধরেরা ফের ফনা তুলেছে। তাদের বিষ দাঁত ভেঙ্গে ফেলা হবে। সেদিনের হামলাকারীদেরকে চিহ্নিত করা হয়েছে।

হাজীগঞ্জে গত দেড়শ বছরে এমন ঘটনা ঘটেনি। যে প্রাথী জনগনের কাছে থাকবে তাদেরকে মনোনয়ন দেঢা হবে। আমরা হয়তো আমাদের দায়িত্ব পালন করতে পানিনি এ জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে তাই এ বিষয়ে আমরা কথা বলতে চাই না। আসামী চিহ্নত করা হয়েছে। যে কোন মূল্যে এদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। আমি ঢাকায় ফিরে প্রধানমন্ত্রীর সাথে এই বিষয়ে কথা বলবো এবং পুরো পরিস্থিতি তাঁর সামনে তুলে ধরবো। আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই এমন ব্যবস্থা নিবো, যাতে এরা আর দাঁড়াতে না পারে।

নিজ দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে মেজর অব রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপি বলেন, আজকে যারা আমাকে মিছিল করে এখানে নিয়ে এসেছেন তারা সেদিন ঐদিন রাতে থাকলে হয়তো এ ঘটনা ঘটতো না। তোমাদেরকে আমাদের মা-বোনদেরকে নিরাপত্তা দিয়ে রাখতে হবে। আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকুন, তাদেরকে আইনের আওতায় আসতেই হবে। আমাদের নেতাদেরকে বলছি যারা জনগনের কাছাকাছি থাকবেন তারাই নির্বাচনে দলীয় প্রতীক পেতে পারেন।

এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি রোটা. রুহিদাস বনিক, কালচোঁ দক্ষিণ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন প্রত্যাশী রোটা. এস.এম মানিক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শাহরাস্তি উপজেলা চেয়ারম্যান নাসরিন জাহান শেপালী, পৌর মেয়র আলহাজ্ব আব্দুল লতিফ, হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার, অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা স্বপন, সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সফিকুল ইসলাম মীর উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ রোটা. আহসান হাবিব অরুন, জেলা পরিষদের সদস্য আলহাজ্ব জসিম উদ্দিন, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক মাসুদ ইকবাল, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক জাকির হোসেন সোহেল, পৌর ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সোহেল আলম বেপারী, সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাছান রাব্বি, যুবলীগ নেতা নাহিদুল ইসলাম সোহেলসহ উপজেলা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গ-সহযোগি সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী।

Loading

শেয়ার করুন: